রূপালী ব্যাংকের ৪৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডলি কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছিল, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখা থেকে ঋণের নামে ৭৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ১০৬ টাকা উত্তোলন করেছিলেন। পরে সুদ-আসলে ৩০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করা হয়। আত্মসাৎ করা হয় ঋণের বাকি ৪৪৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৪ টাকা, যা বর্তমানে সুদ-আসলে হয়েছে ৪৮৯ কোটি ৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৫ টাকা।
দুদক আইন অনুযায়ী সুদ-আসলে এ পরিমাণ টাকা আত্মসাতের শামিল। জালিয়াতি, প্রতারণা করে এই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪০৬/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগপত্রে অভিযুক্তরা হলেন, ডলি কনস্ট্রাকশনের এমডি নাসির উদ্দিনের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডলি আক্তার, রূপালী ব্যাংকের শিল্পঋণ শাখার সাবেক ডিজিএম খালেদ হোসেন মল্লিক, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক সোলায়মান, ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোলাম সারোয়ার, পল্টন করপোরেট শাখার ডিজিএম এএসএম মোরশেদ আলী, স্থানীয় কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও জিওগ্রাফ সার্ভে করপোরেশনের মালিক পারভেজ বিন কামাল, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক তাজ উদ্দীন আহমেদ, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. সরোয়ার হোসেন, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার এস এম আরাফাত হাসান, সাবেক সিনিয়র অফিসার বদরুল ইসলাম, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. আবু সায়েম, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. কেতাব আলী মণ্ডল, মো. রাশেদুল ইসলাম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুল কুদ্দুস।
মন্তব্য করুন