সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে সীমানা পুননির্ধারণ করা হয়েছে দাবি করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে কোনো আদালতে কোনো অভিযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।
রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা বা সংশয় নেই।
গত বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে ২০২৩ সালের সীমানার তালিকা থেকে ৫০টির মতো আসনে পরিবর্তন আনা হয়। এতে গাজীপুর একটি আসন বাড়িয়ে বাগেরহাটে একটি কমানো হয়। এ নিয়ে গাজীপুরে আনন্দ মিছিল হলেও বিক্ষোভ-আন্দোলন ও অবরোধের মতো কর্মসূচিও চলছে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায়।
এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সীমানা নির্ধারণের কাজটি কমিশন নিরপেক্ষভাবে শেষ করেছে। প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক এলাকা, সর্বশেষ আদমশুমারির কথা আইনে বলা হয়েছে। আদমশুমারির রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেছি। কিছুটা অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে। গত ১৬ জুনের আপডেট ভোটার সংখ্যার ওপর ৬৪ জেলার ভোটার সংখ্যা, অ্যাভারেজ সংখ্যা, টোটাল সংখ্যা পরীক্ষা করে ঠিক করেছি যে, কোথাও খুব বেশি, কোথাও খুব কম। সেটা বিবেচনায় নিয়ে খসড়াটা করি। সেই খসড়ার ওপর দাবি-আপত্তি এলে, শুনানি করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
তিনি বলেন, আদমশুমারির যাতে গ্যাপ না থাকে সেজন্য ভোটার সংখ্যাকেও বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। মোট ৪০ হতে পারে, ৪৬টি আসনেও পরিবর্তন হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সীমানা নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানি না।
সীমানা নির্ধারণে প্রায়োরিটি কোনটা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কোথাও প্রশাসনিক বিষয় নিলে এক ধরনের সমস্য হয়, আবার ভৌগোলিক বাদ দিলে এক রকম সমস্যা হয়৷ কাজেই সবকিছুই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন