বেসরকারি কোম্পানির ওষুধের তালিকা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের টেবিলে রাখা যাবে না। এছাড়া রোগীর প্রেসক্রিপশনের ছবিও তোলা যাবে না। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে কর্মরত চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষার্থ ও যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও প্রতিষ্ঠানের লোগো সংবলিত প্যাডে সরকারি হাসপাতালে বসে প্রেসক্রিপশন লেখা, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া যাবে না। সরকারি হাসপাতালে যেসব ওষুধের সরবরাহ আছে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ রয়েছে তা কোন ভাবেই বাইরে থেকে কেনা ও পরীক্ষা করার সুপারিশ করা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সরকার অনুমোদিত বা সরবরাহকৃত বাদে কোন বেসরকারি সিল ব্যবহার করা যাবে না। তবে বিজ্ঞাপনবিহীন জেনেরিক নামের সিল ব্যবহার করা যাবে। বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি সরবরাহকৃত ওষুধের তালিকা সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের টেবিলে রাখা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা কোনোভাবেই রোগীর কোন তথ্য, প্রেসক্রিপশন বা ডকুমেন্টের ছবি তুলতে পারবেন না। সপ্তাহে দুইদিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এই সময়ের বাইরে তারা সরকারি হাসপাতালে অবস্থান করতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার সময় অবশ্যই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) প্রদর্শন করবেন। এসব নির্দেশনা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে।
মন্তব্য করুন