আগামী শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে বৃষ্টিপাত আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে দেশের ওপর মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কিছুটা বেড়েছে। এতে দেশে বৃষ্টিপাতের ব্যাপ্তি ও তীব্রতাও কিছুটা বেড়েছে বৃহস্পতিবার। কিছুটা কমেছে ভ্যাপসা গরমও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবারও পরিস্থিতি কমবেশি একই রকম থাকতে পারে। তবে আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আবারও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি কিছুটা বেড়েছে, এতে গরমের অনুভূতিও সামান্য কমেছে। আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি ও তীব্রতা আরেকটু বাড়তে পারে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি বেশি থাকতে পারে। তবে রংপুরেই বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি থাকতে পারে।’
এদিকে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সম্ভাব্য লঘুচাপটি সাগরে খুব অল্প সময়ের জন্য থাকতে পারে।
আগের দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার দেশে বৃষ্টিপাতের ব্যাপ্তি ও পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে কমবেশি বৃষ্টির দেখা মিললেও সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অনেক অঞ্চলই ছিল বৃষ্টিহীন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মধ্য ৩০টিতে গতকাল বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে ও নওগাঁর বদলগাছীতে। ঢাকায় এ সময় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি। ঢাকায় এসময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন