

উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। তেঁতুলিয়াসহ জেলার আশপাশের এলাকায় ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।
এদিকে কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর হালকা থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে কমতে থাকে ঠান্ডার অনুভূতি। তবে প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে আবারও শুরু হয় শীতের অনুভূতি। রাত নামতেই প্রকৃতি হয়ে উঠছে আরও নিষ্ঠুর।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এ জেলায় হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতের কারণে কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।
উপজেলা সদরের মমিনপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডার জন্য কেউ গাড়িতে ওঠে না। আমাদের আয় কমে গেছে। সারাদিন ৩০০ টাকাও ইনকাম হয় না। খুব কষ্টে আছি।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
মন্তব্য করুন