স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, চলতি বছর ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সি রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, চলতি বছর ২০-৩০ বছর বয়সি রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এসব রোগীর অনেকেই জ্বর শুরু হওয়ার ছয়-সাত দিন পর হাসপাতালে ভর্তি হন এবং দু-তিন দিনের মধ্যেই মারা যান। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হলেও মৃত্যুহার কম। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক রোগীই সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আসছেন, যা মৃত্যুঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, জ্বর হলে দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত এবং অবহেলা করা ঠিক নয়। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। যত ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।
এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজন বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১ জনে দাঁড়াল। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৭৮ জন।
মন্তব্য করুন