বাংলাদেশে আগের চেয়ে ভারতীয় ভিসা ইস্যু বেড়েছে। ভবিষ্যতে এই হার আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ—ডিকাব’-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেেই সভা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশে আমাদের একটি খুব বড় ভিসা কার্যক্রম রয়েছে। এটি গত বছরের জুলাই এবং আগস্টের ঘটনার আগে যে স্তরে ছিল, এখন সেই স্তরে নেই। কিন্তু আজও বাংলাদেশে যে ভিসা ইস্যুর সংখ্যা রয়েছে, তা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আমাদের বৃহত্তম ভিসা কার্যক্রমগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সামনের দিকে তাকানো, পেছনে তাকানো নয়। কিন্তু এটা সত্য যে ৫ আগস্টের ঘটনা ঘিরে তখন সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রভাবিত হয়েছিল। এর ফলে ভিসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় লোকসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। এখন আমাদের ভিসা কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। আগামী দিনেও এই কার্যক্রম বাড়বে।
গঙ্গার পানি চুক্তি ও তিস্তা প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ দুটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যৌথ কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার হাজার কিলোমিটারের মতো সীমান্ত রয়েছে। নিরাপত্তা, মাদক চোরাচালান, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারতীয় সীমানায় এমন ঘটনা ঘটে। তবে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী নিজের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।
বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ বেড়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম মিশ্রি বলেন, পুশ-ইন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল, যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) বি. শ্যাম, ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ডিকাবের ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন