

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
নীতিমালায় রিটেইনারের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, একজন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ করা যাবে। নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ও অনুমোদিত সশস্ত্র ব্যক্তির নির্দিষ্ট মেয়াদের পর মেয়াদও শেষ হবে।
রিটেইনার নিয়োগের শর্ত
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল প্রকৃত নিরাপত্তাঝুঁকি থাকলে রিটেইনার নিয়োগ অনুমোদন করা হবে; রাজনৈতিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রিটেইনার নিয়োগ করা বা অনুমোদন করা যাবে না; কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থী লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্য হলে এবং তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ে অসমর্থ হলে বা অনিচ্ছুক হলে বৈধ লাইসেন্সসহ আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তা পরিচালনায় সক্ষম এবং কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর রিটেইনার হতে ইচ্ছুক, এমন কোনো ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রিটেইনার নিয়োগ করতে পারবেন। এই নিয়োগ লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
রিটেইনারের যোগ্যতা
রিটেইনারের যেসব যোগ্যতা লাগবে, সেগুলো হলো — বাংলাদেশি নাগরিক ও ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর; অপরাধমুক্ত ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রাপ্ত; আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (সশস্ত্র বাহিনী বা বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন; সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত মেডিকেল ফিটনেস সনদপ্রাপ্ত)।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একজন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ হবে; নির্দিষ্ট মেয়াদের পর রিটেইনারের মেয়াদও সমাপ্ত হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, রিটেইনারের অনুকূলে কোনো আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হবে না। রিটেইনার কেবল আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী হবেন। অস্ত্র-সংক্রান্ত সব দায় লাইসেন্সধারীর ওপর বর্তাবে।
মন্তব্য করুন