বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিআরটিসি এগিয়ে যাচ্ছে। সবার অংশগ্রহণে এই প্রতিষ্ঠানকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। বিআরটিসি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভা’ আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআরটিসিকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র করে বিআরটিসির অগ্রযাত্রা থামিয়ে রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গতিশীল নেতৃত্বের জন্য বিআরটিসিতে পরিবর্তন এসেছে এবং এটাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন, যুগ্মসচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিআরটিসির উন্নয়নের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাঃ ও পার্সোঃ) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।
সভায় অংশগ্রহণকারী হাসানুল কবির বলেন, বাস ও ট্রাক সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার বলেন, বিআরটিসি স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও টেকসই রাখার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা করতে হবে।
মো. জাকির হোসেন বলেন, বিআরটিসি’র এই পরিবর্তন দেখে আমি অভিভূত। সার্ভিস আরও ভালো করে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে হবে।
রোড সেফটি অ্যালায়েন্স সমন্বয়ক পার্থ সারথি দাস বলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা দিয়ে প্রমাণ করেছেন একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা যায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি যে কাজ করছেন এ জন্য তাকে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।
মন্তব্য করুন