কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৯ মাসে ২১৭ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) লোগো। ছবি : সংগৃহীত
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) লোগো। ছবি : সংগৃহীত

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মানবাধিকার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ৯ মাসে ২১৭ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আসক চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না এক লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদন আসক বলেছে, ১০টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং তাদের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, তাদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশের হাতে, দুজন র‌্যাব ও একজন ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) হাতে নিহত হন। এ ছাড়া সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাতজনকে অপহরণ করেছে বলে পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ছয়জনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৯ মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৭৭ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে ১৮ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন বলছে, গত ৯ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৪৬৭ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩২ নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন তিন নারী। এ ছাড়া ১০৫ নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে।

পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩৯১ নারী। এর মধ্যে ২৩৫ নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৯৪ নারী। এ ছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬২ নারী।

যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১৪ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৭ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছয় নারী।

শিশু নির্যাতন ও হত্যা এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ৯ মাসে মোট ১ হাজার ১৫৭ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ৩১৭ শিশু। এর বাইরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৩ ছেলে শিশু, ২ ছেলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এক ছেলে শিশু ধর্ষণের শিকারের পর আত্মহত্যা করেছে। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে ছয়টি শিশু। এ ছাড়া আত্মহত্যা করেছে মোট ৬৪ শিশু, বিভিন্ন সময়ে মোট ১১৮ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৫ শিশুর, এ ছাড়া অপহরণের পর হত্যা করা হয় ১৫ শিশুকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুজতেছি না এ সরকার কি আমাদের, নাকি কাদের: ইব্রাহীম

কবি নজরুল ছিলেন মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত : ডা. ইরান

শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু মঞ্চ ও পোশাক কর্মশালা

এবার চতুর্থ সারির ক্লাবের কাছে হেরে ম্যানইউর বিদায়

ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলো ৩ ইউনিয়নের মানুষ

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

১০

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

১১

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

১২

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

১৩

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

১৪

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১৫

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

১৬

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

১৭

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

১৮

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৯

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

২০
X