জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সেলফি তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেছেন, বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি অব চান্সে হয় নাই। এটা আগে থেকেই অনুষ্ঠানের সাইড লাইনে কর্মসূচির আলোকে হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সিএসআর সেন্টারের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘রিপোর্ট অন সিএসআর ইন বাংলাদেশ-২০২৩ সার্কুলার ইকোনমি: অ্যা নিউ পাথ টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবিলিটি’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, জ্যাকি সুলিভান আমেরিকান ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার। তিনি আমেরিকান সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম। তিনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের অ্যাম্বাসিতে গিয়ে দেখা করেছেন। এবং সেই অ্যানাউন্সমেন্টটাও আমরা দিচ্ছি না। অ্যানাউন্সমেন্টটা কিন্তু হোয়াইট হাউস থেকে এসছে। সেখানেও বলা হয়েছে যে, আমাদের কথাটা হয়েছে বাইলেটারাল টাইস এর সমন্ধে এবং আগামী নির্বাচন সমন্ধে।
বিদেশিদের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশিরা কী চাচ্ছেন? একটা হলো, প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, জ্যাক সুলিভান কি বলেছেন? একটাই কথা, যেটা তারা বারবার বলে আসছেন, নতুন কথাটা না। তাদের কথা হলো- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ একটা পিসফুল নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি- আমরাও একই জিনিস চাই।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কি কথা হয়েছে। তাদের একটাই চাওয়া বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। তাদের ও আমাদের সরকারের চাওয়া একই। এখানে কোনো দ্বিমত নেই।
স্যাংশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য আগের মতোই চলছে। তারা আসতেছে, আমরা যাচ্ছি। তাদের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আসছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে ওয়াশিংটন ডিসিতে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা যখন ঢাকায় এসেছেন তখন আমার সঙ্গে বৈঠক করছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অর্থাৎ সব কিছু আগের মতোই চলছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা বিষয়টিই তো ভুল ধারণা। নিষেধাজ্ঞা তারা শুধু একবার দিয়েছে র্যাবের ওপর। ভিসা স্যাংশন নয় ভিসা রেস্ট্রিকশনের কথা তারা বলেছে। এটারও তারা ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছে যে, কেউ নির্বাচনের বিরুদ্ধে কাজ করবে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা রেস্ট্রিকশন দেয়া হবে। এটা তারা বার বার ক্লিয়ার করেছে। এমন কি গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসও বলেছে যে, আমরা কিন্তু কোনো দলের পক্ষে নই। এটা তারা দেবে নির্বাচনে বাধা দেয় এমন যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, এই স্যাংশন শুধু বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। তারা তাদের আইন অনুযায়ী কাজ করে। অথচ বিএনপি বার বার বলছে, ভিসা রেস্ট্রিকশন শুধু আওয়ামী লীগের ওপর দিয়েছে।
মন্তব্য করুন