পদোন্নতি, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে এবার তিন দিনের কর্মবিরতিতে যাচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা, যা চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।
কর্মবিরতিতে দেশের সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সব শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা ক্লাস-পরীক্ষা, প্রশিক্ষণসহ সবধরনের কাজ বন্ধ রাখবেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী ও মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ন্যায্য দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ধারাবাহিক কর্মসূচি করে আসছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর মাউশিতে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অবস্থান সুস্পষ্ট করেছি আমরা। এরপরও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল, যা সফলভাবে পালিত হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম- কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সব শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন।
‘শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি চলাকালে ক্লাস, সবধরনের পরীক্ষা, শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অধীন ভর্তি, ফরম পূরণ, প্রশিক্ষণ, কর্মশালাসহ দাপ্তরিক সব কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি করবে’ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা।
মন্তব্য করুন