ইথানল ও মিথানলের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
বুধবার (২১ জুন) রাজধানীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘ইথানল ও মিথানল অপব্যবহার রোধে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র সচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইথানল ও মিথানল অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান। এর অপব্যবহার মানুষের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। ইথানল ও মিথানলের অপব্যবহার রোধে করণীয় নির্ধারণে প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম এক সঙ্গে করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ জানান।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম।
মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া ইথানল ও মিথানলের আমদানির অনুমতি থাকে না এবং বৈধভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে ইথানল ও মিথানল এর যৌক্তিক কোটা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। তাছাড়া পরবর্তীতে এতদসংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একযোগে কাজ করবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ) মো. সাইফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. খায়রুল কবীর মেনন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান আল নাকিব চৌধুরীসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এছাড়াও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, বিসিএসআইআর, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অধিক পরিমাণে মিথানলের উপস্থিতি ফরমিক এসিড বা ফরমেট লবণের মেটাবোলাইজ ঘটায় যা কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে অন্ধত্ব, পঙ্গুত্ব এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শিল্প কারখানার জন্য আমদানিকৃত মিথানল মিশ্রিত ইথানলকে বলা হয় মিথাইলেটেড স্পিরিট। বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক মানুষ এই বিষাক্ত স্পিরিট পানের কারণে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
মন্তব্য করুন