সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ওমান প্রবাসীর হাতে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের প্রবাসী যুবক সবুজ (৩৬)।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দুবাইয়ের আজমান কেরামা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ছোট দুর্গাপুর মিয়াজি বাড়ির মৃত আমছর আলীর একমাত্র ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর ১০ মাস আগে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে প্রবাস জীবন শুরু করেন সবুজ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
আরও জানা যায়, সবুজ যে বাসায় থাকতেন, সেখানে ওমানের এক ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। ওই ব্যক্তির কাছে ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি সবুজের মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই নিহত যান।
এ ঘটনার খবর প্রথমে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন সবুজের স্বজন দুবাই প্রবাসী রুবেল। পরে নিহতের খালাতো ভাই আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বর্তমানে নিহতের মরদেহ দুবাই পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যাকারী ওমানি নাগরিককে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আটক করেছে এবং থানায় প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে।
নিহত সবুজের মা পারুল বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে খুন করে ফেলল। সংসার চালানোর ভরসা ছিল সে-ই। এখন আমি আর আমার নাতিরা কীভাবে বাঁচব?
স্ত্রী রীমা আহাজারি করে বলেন, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দাও। ১০ বছরের ছেলে বাইজিদ বাবার জন্য কাঁদছে। সে এখন বাবাহারা হয়ে গেল।
নিহতের দুই বোন ও ভাই হারানোর শোকে ভেঙে পড়েছেন। গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী দ্রুত মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি কালবেলাকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিহতের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসকে অবহিত করা হবে।
সবুজের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শোকাহত পরিবার।
মন্তব্য করুন