বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেয়েছে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে প্লেন্টি প্রোজেক্ট নিয়ে স্মার্ট স্টুডেন্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে সেন্ট জোসেভ স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান। পাশাপশি এন্টরপ্রেনিউর্স ক্যাটাগরিতে ভারতের "এন্ড নাও ফাউন্ডেশন", স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে "বাইট ক্যাপসুল", সরকারি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়র্ক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে "পথচলা ফাউন্ডেশন"।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সবাই জিমেইল ব্যবহার করলেও নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত। কারণ জিমেইল ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এখনো যারা হ্যাকিংয়ের শিকার হননি তারা কেউই বলতে পারবেন না যে তিনি হ্যাকড হননি। তাই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কেননা কেউ না কেউ ইন্টারনেটে আপনাকে নজরদারিতে রেখেছে। আর দেশ হিসেবে সুরক্ষিত থাকতে হলে সব দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে। কারণ সাইবার স্পেসে কোনো সীমান্ত বা সীমানা নেই। সেখানে একটাই আকাশ। ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফেন লিলার বলেছেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে রেঁনেসা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল নিজস্ব সল্যুশন দিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন ডিজিটাল খাতেও সুশাসন নিশ্চিত করার সময় এসেছে। লিঙ্গ বৈষম্য, বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো বিষয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে। সাইবার হুমকি মোবাবেলায় আমাদের একক উদ্যোগকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আইসিটি সচিব সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ কামরুজ্জামান সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন