বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ১৩ বছরেও নবায়ন করেননি সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা। সনদ নবায়ন না করেই ২০১০ সালের পর থেকে তিনি চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আলোচিত ওই চিকিৎসক।
ডা. সংযুক্তা সাহা বলেছেন, আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি কিন্তু এমন না। নিবন্ধন আছে, তবে সেটি রিনিউ করা হয়নি। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইন সিস্টেম ছিল এটা আমি জানতাম না। আমার আগেই নিবন্ধন নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর পরীরবাগে তার নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সংযুক্তা বলেন, নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়। আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি তাই কাগজপত্র ঠিক করা হয়নি। নিবন্ধনের জন্য ১৩ বছরে একবারও সময় হয়নি? জানতে চাইলে সংযুক্তা বলেন, যখন আমি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান ছিলাম, তখন নিবন্ধনের বিষয়গুলো তারাই হ্যান্ডেল করতো। কাগজপত্র নিয়ে তারাই রিনিউ করে নিয়ে আসতো। সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসার পর সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
ডা. সংযুক্তা বলেন, মিডিয়ায় বেশি কথা বলে আমি কনফিউশন সৃষ্টি করতে চাই না। ইতিমধ্যে কোটি কোটি মানুষ কনফিউজড। এক টিভি বলে এক কথা, আরেক টিভি ভিন্ন কথা। আসলে আমি নিজেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমার পক্ষে এখন কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য গত ৯ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে সি-সেকশন সার্জারির সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। ১৯ জুন মাহবুবা রহমান আঁখি অপর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে ১৪ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন