প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে করা মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। ২৫ জুন মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
অর্থ পাচার আইনে এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য রোববার (২৫ জুন) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ১৫ জুন আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। এরপর একই বছরের ১০ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
তার আগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
মন্তব্য করুন