রাজধানীর গুলশানে কূটনৈতিক পাড়ায় ‘হোলি আর্টিজান বেকারি’ নামের রেস্তোরাঁয় নৃশংস জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
শনিবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটের ওই ভবনের সামনে অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। এ ছাড়া ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তারাও নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ১০টার দিকে হোলি আর্টিজানের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে হোলি আর্টিজানে নৃশংস জঙ্গি হামলার সাত বছর পূর্ণ হলো আজ শনিবার (১ জুলাই)। ওই হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। প্রতিরোধ করতে গিয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা, আহত হন আরও অনেকে।
হামলাকারী জঙ্গিরা ২০১৬ সালের ১ জুলাই রেস্তোরাঁটির ভেতরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছিল অনেককে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। ঘটনার দিন সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন।
ওই ঘটনায় দায়ের মামলায় পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। বিচার কার্যক্রম শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালত নব্য জেএমবির জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনকে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেন। অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেন আদালত। তবে উচ্চ আদালতে ওই আসামিদের এখন চূড়ান্ত বিচার কার্যক্রম চলছে।
মন্তব্য করুন