স্মার্ট ও টেকসই নগরায়নের লক্ষ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেছেন, নগরীর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের ভালো থাকাকে সমানভাবে প্রভাবিত করে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনে পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সুপারিশসমূহ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও অঙ্গীকারে অন্তর্ভুক্তি করা অতীব জরুরি বলে মনে করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুঃস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র- ডিএসকে কনসোর্টিয়াম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তারা।
বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ মতামত দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ইজাজ আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান। কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ)-এর নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, ডিএসকে কো-অর্ডিনেটর মো. রকিবুল ইসলাম, ইয়্যুথ প্রতিনিধি শাহিনুর আক্তার, বস্তিবাসী নেত্রী ফাতেমা আক্তার, কাপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহবুল হক, ইনসাইটসের নিগার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ঢাকা শহরের দূষণের দিকে থেকে পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জায়গা দখল করে আছে। আর এর অন্যতম ভুক্তভোগী বস্তিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে এই শহরের প্রান্তিক মানুষেরা সবচেয়ে বেশি প্রান্তিক। এটা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, রাজধানীর ৭০ শতাংশ বর্জ্য সংগৃহীত হয়, তাহলে বাকি ৩০ শতাংশ বর্জ্য কোথায় যায়? এই বর্জ্যগুলোকে কাজে লাগাতে পারি। বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করা যেতে পারে। আমাদের কৃষি জমিতে জৈব উপাদানের পরিমাণ এক শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছে, এটি আমাদের জন্য মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। কৃষি জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনার জন্য কৃষি জমিতে জৈব উপাদান ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
মন্তব্য করুন