নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সারা দেশে নির্বাচনের সাড়া পড়ে গেছে। মানুষ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাবেন। তাই একটি জাগরণ তৈরি হয়েছে। মুখরিত প্রচারণা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০১ সালে দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন এসেছিল একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন যোগাযোগ তো দূরের কথা, মানুষের নিরাপত্তা ছিল না। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করেছিল। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপের সহায়তায় সারা দেশে ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা করেছিল। দেশের অর্থনীতি লুটেরাদের হাতে চলে গিয়েছিল। দেশের মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি। কিছু ব্যক্তির উন্নয়ন হয়েছিল ।
নতুন জেটি ও টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট গুছে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের পর্যটন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক গতি সঞ্চারিত হবে।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এ এস এম আশরাফুজ্জামান এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি ও টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণ করা হবে। সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটিসহ ও টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণে ৩৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে আরসিসি জেটি ও টার্মিনাল ভবন এর পাশাপাশি বাউন্ডারি ওয়াল, পার্কিং ইয়ার্ড, তীর রক্ষাসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হবে। ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৯.৫ মিটার প্রস্থের জেটি নির্মিত হবে। সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণের জন্য ২৫. ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থান রয়েছে। দোতলা বিশিষ্ট একটি টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোর হবে ২৭ হাজার ৭৭২ বর্গমিটারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মন্তব্য করুন