শুধু নিয়ন্ত্রক হিসেবে নয় বরং সাহায্যকারী হিসেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। টেলিযোগাযোগ খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন, সেবার মান বৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে বিটিআরসি নীতিমালা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফেসিলিটেটর (সাহায্যকারী) হিসেবেও কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
এসময় তিনি বলেন, স্থানীয় উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধিত ও বৈধ মোবাইল ফোন ছাড়া যাতে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট কেউ ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করতে হবে। দেশে স্থানীয়ভাবে ১৭টি মোবাইল উৎপাদন কারখানায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের।
প্রযুক্তিনির্ভর মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসির অসামান্য অবদান রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিটিআরসিকে আরও উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ, রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের উৎস ও সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে হবে।
এসময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ইশতেহার ঘোষণার পর বিগত ১৫ বছরে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসি উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
সভায় অংশগ্রহণ করেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল উর রহমান এবং লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু। কমিশন সচিব মো. নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে বিটিআরসির সকল স্তরের কর্মকতা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন