কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারাবাসের অভিজ্ঞতা জানালেন আলোচিত সেই ডা. সাবরিনা

ডা. সাবরিনা। ছবি : কালবেলা
ডা. সাবরিনা। ছবি : কালবেলা

পুরোনো কয়েদিরা তাকে আদর করে ৪ আঙুল জায়গা বেশি দিত বলে জানিয়েছেন আলোচিত সমালোচিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) কালবেলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ডা. সাবরিনা বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কারাগারে অনেক বই পড়তাম। সেখানে একটা বড় লাইব্রেরি ছিল। অনেক বইয়ের সংগ্রহ ছিল সেখানে। বই পড়তাম আর প্রথম দিন থেকেই আমি ভাবতাম বই লিখব। আগেও লিখতাম তবে নিভৃতে। পরে ভাবলাম আমাকে বই লিখতেই হবে।

আসন্ন বই মেলায় তার নতুন বই আসছে জানিয়ে ডা. সাবরিনা বলেন, বইটা প্রথম সপ্তাহ থেকেই বই মেলাতে পাওয়া যাবে আহমেদ পাবলিশার্স স্টলে। ৫৪১-৫৪৪ এই চারটা নম্বরের স্টলে বইটা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া রকমারি ডট কমেও আমার বইটা পাওয়া যাবে। এই বইয়ে নিজের কোনো ঘটনা নেই, এখানে স্থান পেয়েছে নারীবন্দিদের লোমহর্ষক সব ঘটনা।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার সাজা হলেও উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।

এই মামলায় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এরপর একই বছরের ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।

২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুপুর পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

রাশিয়া-ইউক্রেন সমঝোতার ‘গতি বাড়ছে’

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে এসএমসি, ৪২ বছরেও আবেদন

মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে ২ বন্ধু নিহত

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না, জানালেন সড়ক উপদেষ্টা

সিরিয়ায় চাপ কমাতে ইসরায়েলকে থামতে বললেন ট্রাম্প

পরোপকারী সঞ্জীবের এমন মৃত্যু কেউ মানতে পারছে না

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০

২ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

ভারতের অনুমতি মিলল দুদিন পর, ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট

১২

মোংলা বন্দরের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন

১৩

বরিশালে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ মঙ্গলবার

১৪

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু

১৫

দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি : বাবুল

১৬

পরবর্তী সরকারের প্রতি আসিফ নজরুলের আহ্বান

১৭

পাসপোর্ট অফিস থেকে রোহিঙ্গা যুবক আটক

১৮

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা প্রয়োজন : মান্নান

১৯

এভারকেয়ারে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ব্যারিকেড

২০
X