কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউনাইটেড হাসপাতাল বন্ধ ও জড়িত চিকিৎসকদের ফাঁসি চাই : আয়ানের বাবা

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। ছবি : কালবেলা
ইউনাইটেড হাসপাতাল বন্ধ ও জড়িত চিকিৎসকদের ফাঁসি চাই : আয়ানের বাবা

রাজধানীর বাড্ডা থানার সাঁতারকুল এলাকায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকদের ফাঁসি দাবি ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাবা শামীম আহমেদ।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শামীম আহমেদ বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমাকে হত্যার ভয় দেখানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আমি শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এই ঘটনায় জড়িতদের কেউ ধরতে পারতেছে না। অথচ রামপুরার জে এস হাসপাতালে যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সঙ্গে সঙ্গে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ আমার এ ঘটনার দুই মাস হলেও কেউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

ভুক্তভোগী এই বাবা আরও বলেন, আমি একটাই কথা বলতে চাই। আজকে যদি আয়ান হত্যার সঠিক বিচার হতো তাহলে হয় তো বা রামপুরায় আবার শিশুর খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। চিকিৎসকরা চাপে থাকত। কিছু কিছু ডাক্তার নামে কসাই যারা টাকার জন্য এই ধরনের ফুটফুটে শিশু হত্যা করছে। আমার যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পূরণ হবে না। কিন্তু আমি চাই দেশের মানুষ সচেতন হোক, পাশাপাশি অভিভাবকরা সচেতন হোক।

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ফলে আমরা ডিবির স্মরণাপন্ন হলাম। ডিবি থেকে বলা হয়েছে, তারা আমার অভিযোগ আমলে নিবে।

আয়ানের বাবার আবেদন ও খতনা করাতে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা থানাগুলোতে মামলা হয়েছে। ডিবি পুলিশ ছাঁয়া তদন্ত করছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আগে এলাকায় কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ছাড়াই সুন্নতে খতনা করানো হতো। কিন্তু এখন কথিত কিছু অবৈধ ভুয়া ক্লিনিকগুলোতে ছোট ছোট শিশুদের খতনার নামে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হচ্ছে। কিন্তু পরে আর জ্ঞান ফিরছে না। এমন কী এসব ক্লিনিকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার অনুমোদনও নেই। আমাদের টিম কাজ করছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। বাবা-মায়ের কোল থেকে শিশু হারিয়ে যাবে এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাছের মাথার ‘সোনার মণি’ বিক্রি করে লাখ টাকা আয় নেওয়াজের

পার্লামেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক রাতেই সব পুড়ে ছাই

থালাপতির মতো কেন জনতার নায়ক হতে পারলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা?

সেনাবাহিনীর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, ৮ সদস্য আহত

ইরানের সঙ্গে বসছে ইউরোপের তিন শক্তি

নিউইয়র্কে কনস্যুলেটের ঘটনায় মিশনের ব্যাখ্যা

আজকে স্বর্ণের বাজার দর

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি শুরু

বোলিং করতে না দেওয়ায় অধিনায়ককে গুলি করে হত্যা

জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপের ১২ কারণ

১০

১৬ বছর বয়সী কিশোরের ইতিহাস গড়া ম্যাচে লিভারপুলের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

১১

রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অজানা গল্প বললেন আরজে কিবরিয়া

১২

গাঁজা নিয়ে কারাগারে প্রবেশকালে কর্মচারী আটক

১৩

ডাকসুর প্রচারণায় মানতে হবে যেসব আচরণবিধি

১৪

চাকসু নির্বাচনে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের অব্যহতি চেয়েছে ছাত্রদল

১৫

চমক রেখে দল ঘোষণা করল ব্রাজিল

১৬

৯ সংকেতে বুঝবেন টেস্টোস্টেরন হরমোন কমেছে

১৭

ইসরায়েলকে একহাত নিল ফ্রান্স-জার্মানি

১৮

দেশের চার এলাকাকে ‘অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’ ঘোষণা

১৯

মাঝরাতে মিথিলার খুশির খবর

২০
X