গৃহশ্রমিক তামান্না হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুরান ঢাকার জনসন রোডে জজ কোর্টের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে সুনীতি প্রকল্প ও গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কর্মজীবী নারী সদস্য বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল হোসেন। সংহতি বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারীর সদস্য হুরমত আলী, অ্যাডভোকেট মাসুদ খান খোকন, মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবাইদা পারভীন, জাতীয় শ্রমিকজোট নেতা হেনা চৌধুরী, শেখ শাহানাজ, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সদস্য মোস্তফা।
৩২ জন অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কর্মজীবী নারী, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গৃহশ্রমিক অধিকার রক্ষা নেটওয়ার্ক, নারীমুক্তি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস এবং গৃহকর্মী অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের নেতারাসহ পথচারী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, গৃহকর্মী তামান্না হত্যার খবরটি পত্রপত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তামান্না হত্যাকাণ্ড জানান দিয়ে গেছে যে, গৃহকর্মীদের জন্য আইন প্রণয়ন করা কতটা জরুরি। এই মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকারকে অতি দ্রুত গৃহশ্রমিকদের নীতিমালা আইনে পরিণত করার আহ্বান জানাই।
গৃহশ্রমিক তামান্না যেন সুবিচার পায়, বিচার প্রক্রিয়া যেন দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং এটা যেন একটি দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয় তা দাবি করেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক হুরমত আলী।
জাতীয় শ্রমিক জোটের নেতা শেখ শাহানাজ বলেন, তামান্না হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে গৃহশ্রমিকেরা। প্রয়োজনে দেশের সব গৃহশ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নামবে। তিনি সরকারকে গৃহশ্রমিক নীতিমালাকে অতিদ্রুত আইনে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় হত্যাকারীর দ্রুত শাস্তির দাবি জানান জাতীয় শ্রমিকজোটের নেতা হেনা চৌধুরী।
গত ২৩ জুন মিরপুরে রূপনগর এলাকার এক বাসা থেকে তামান্না নামে এক গৃহকর্মীকে ভবনের ৯ তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ দিন পর তামান্না গত ১ জুলাই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত শেষে তামান্নার পরিবার তার মরদেহ ময়মনসিংহের তারাগঞ্জ গ্রামে নিজ এলাকায় নিয়ে যান।
মন্তব্য করুন