কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডিদের নিয়োগ ও সিদ্ধান্তের বৈধতা যাচাই চলছে

অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ। ছবি : সংগৃহীত

২০১১ সালের পর বিভিন্ন সময় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারীদের নিয়োগের বৈধতা যাচাই চলছে। এমডি পরিচয়ে বিভিন্ন দলিলের স্বাক্ষর এবং তাদের গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বৈধতাও যাচাইবাছাই করছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে এমনটাই জানান গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ।

রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক মজিদ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে অনেক তথ্য আছে, দলিল আছে। আবার অনেক কাগজ পাইনি। বিশেষ করে ১৯৯০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সময়ের অনেক কাগজ পাইনি অথচ সে সময়েই গ্রামীণ ব্যাংকের অধীন অনেক প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছিল।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক একজন ব্যক্তি বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু সেসময় প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়েছিল ‘লিমিটেড বাই গ্যারান্টির’ মাধ্যমে যেখানে গ্রামীণ ব্যাংকও ‘সিড মানি’ দিয়েছিল। বিভিন্ন সময় গ্রামীণ ব্যাংকে যারা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছিল, তারা বৈধভাবে ছিলেন কি না, সে বিষয়টিও দেখছি। তাদের সিদ্ধান্তগুলো, তারা যে স্বাক্ষর করেছিলেন, আদৌ তাদের স্বাক্ষর কি না, সেগুলো যাচাইবাছাই করে দেখা হচ্ছে।

এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, গ্রামীণব্যাংকের মূল মালিক কিন্তু পরিচালনা পর্ষদ না। এর একটি অংশের মালিক সরকার এবং বড় অংশের মালিক এর নারী বিনিয়োগকারীরা। যারা এখান থেকে ঋণ নিয়েছেন। পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে তাদের কণ্ঠস্বর হিসেবে আমরা কাজ করছি, তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করছি। গ্রামীণ ব্যাংক পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভালোভাবে চলছে। আগেও ভালো চলেছে, এখন আরও ভালো চলছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ ব্যাংকের সর্বাধিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

গ্রামীণ কল্যাণসহ প্রায় ৭টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ গ্রামীণ ব্যাংক নিলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মজিদ। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনাদের জীবনের একটা বড় অংশ এই প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেছেন। কেউ কেউ গ্রামীণব্যাংক থেকে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে গিয়েছেন। হুট করে কাউকে বেকার করা উচিত নয় বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের ৯০ শতাংশের বেশি ৯২০ জন কর্মীদের গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিতে নিয়েছি, কারণ সে বিষয়ক কর্মীর প্রয়োজন ছিল আমাদের। তবে কে কতদিন থাকেন, আমি নিজে কতদিন দায়িত্বে থাকি, সেটা কিন্তু কেউ বলতে পারে না।

এ সময় অন্যদের মাঝে গ্রামীণব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ, গ্রামীণ কল্যাণ ও টেলিকমের পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়া সংগ্রাম, সাহস ও গণতন্ত্রের প্রতীক : কবীর ভূইয়া

দেশের মাটিতেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান সাকিব

মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায়

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে : বুলবুল

সময়মতো স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার : মাসুদুজ্জামান

‎জকসু নির্বাচন / প্রার্থীদের ডোপটেস্ট আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর

ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার 

সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনের ‎বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা

ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত

১০

আইজিপির অপসারণ ও বিচার চাইলেন পিন্টুর স্ত্রী

১১

নিবন্ধনহীন নারী রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য : নারীর অধিকার সুরক্ষায় শতভাগ নিবন্ধন জরুরি

১২

চট্টগ্রামে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১৩

কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা হানিট্র্যাপ চক্র, আটক ২

১৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ

১৫

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

১৬

‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে’

১৭

আরএমপির ১২ থানায় ওসি পদে রদবদল

১৮

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ

১৯

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আইইবিতে দোয়া মাহফিল

২০
X