প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত তবে অসুস্থ নন এমন রোগীকে হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ করেছেন চিকিৎসকরা।
রোরবার (১৬ জুলাই) দুপুরে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত ডেঙ্গুবিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। আক্রান্তের পর যাদের মধ্যে উপসর্গ নেই কিংবা অসুস্থও নন তাদের হাসপাতালে ভিড় না করে বাসায় চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সেমিনারে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, মশা মারার কার্যক্রম যেন কার্যকর হয়। অনেক স্প্রে করার পরেও মশা মরে না। এসব বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশনকে সক্রিয় হতে হবে। মশা মারার উদ্যোগ কার্যকর না হলে চিকিৎসা করে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। তবে মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু মানেই ভীতি নয়। সবার হাসপাতালে ভর্তিরও দরকার নেই। তার আগেই বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রতিবছর দেখছি ডেঙ্গু বাড়ছে। মৃত্যুও বাড়ছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের চিকিৎসকরা খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী দরকার। সরকারকে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় আরও সোচ্চার হতে হবে।
রিউমাটোলজিস্ট অধ্যপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই, আবার অসুস্থও নন তাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। এর ফলে একদিকে যেমন হাসপাতালের সক্ষমতা নষ্ট হয়, অন্যদিকে জরুরি রোগীকে চিকিৎসাসেবা পেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। তবে যাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হবে তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
সেমিনারের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উাপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু সাধারণ চিকিৎসায় ভালো হয়। যাদের ডেঙ্গু হচ্ছে সবাইকে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। এতে সীমিত শয্যার হাসপাতালগুলোতে চাপ তৈরি হচ্ছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যেহেতু সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখানে বিএসএমএমইউ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ট্রেইনি চিকিৎসক পাঠানো যায় কি না সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করে দেখব।
তিনি বলেন, যারা রাস্তায় ঘুমায় সিটি করপোরেশেন যেন তাদেরও মশারির ব্যবস্থা করেন। মশার কামড় থেকে সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও রিউমাটোলজিস্ট অধ্যপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন