ঢাকার সদরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৬ জুলাই) রাতে ওয়াটার বাসের ডুবে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
সদরঘাট নৌ থানার এসআই হাসান মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওয়াটার বাসটি রাজধানীর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। মাঝ নদীতে এলে এটি বালুবোঝাই এমভি আরাবি নামে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ওয়াটার বাসটির যাত্রী ইমরান হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কেরানীগঞ্জে যাওয়ার জন্য লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে উঠি। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে ওয়াটার বাসের ছাদে বসেছিলাম। আমার জানামতে, ওয়াটার বাসটিতে ৫৫ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল। বাল্কহেডের ধাক্কায় আমিসহ কয়েকজন সাঁতরাতে থাকি। আশপাশের নৌকার মাঝিরা এসে উদ্ধার করেন। নিচের যাত্রীদের বেশির ভাগই ডুবে গেছে।’
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘ওয়াটার বাসটির কী পরিমাণ যাত্রী নিখোঁজ আছে, আমরা জানতে পারিনি। তবে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ জনের মতো হবে। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ৫ জনকে উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে দুজন শিশু এবং বাকিরা পুরুষ। তাদের মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। ঘাতক বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন