কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : কালবেলা
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : কালবেলা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু সরকার একাত্তরের গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের পর অবৈধ সামরিক সরকার এ বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক দালালদের দলগুলোকে রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে এবং শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও কার্যকর করে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক সমাজ গড়ে তুলুন- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সক্রিয় উপদেষ্টা ছিলাম। আমার বুকের মধ্যে লালিত স্বাধীনতার চেতনা থেকে কখনো বিচ্যুত হতে পারব না ।

তিনি আরও বলেন, নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে আমি অনেক প্রতিভাবান তরুণ মুখ দেখতে পাচ্ছি। তরুণদের প্রতি আমি আহ্বান জানাব, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। আপনাদের মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করুন। ডিজিটাল মাধ্যমকে আপনারা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বোধকে আপনারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিন। বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সরকারের সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংস্থাটি কাজ করছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যে দাবি তুলেছিল, আমাদের রাষ্ট্রপতি তার নেতৃত্বে কমিশন গঠন করেছিলেন। নির্মূল কমিটি সে তদন্তে সহযোগিতা করেছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শহীদ সন্তান শমী কায়সার ও আসিফ মুনীর। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শহীদ সন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় ২৩৩ ইমামকে হত্যা, ৮২৮ মসজিদ ধ্বংস

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ কাম্য : ববি হাজ্জাজ

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের বিপুল ফাঁদ জব্দ

প্লট পেতে নিজেদের গরিব পরিচয় দেন রেহানা-টিউলিপ

১০ লাখ শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগ, পদ ২৫

তিন রাত বন্ধ থাকবে কর্ণফুলী টানেলের এক পথ 

প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সমর্থনে শাটডাউন কুয়েট

নতুন শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের, তুরস্কের দিকে ইঙ্গিত

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিএসএফ ডিজির মন্তব্যে বিজিবি ডিজির দ্বিমত

১০

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৪৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১১

রাজশাহীতে থানায় নিজের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তা আহত

১২

ভুল বালিশে শুয়েই খারাপ হচ্ছে আপনার ফুসফুস! জানুন কীভাবে

১৩

রাতে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৪

সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া

১৫

সাভারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫

১৬

সাতক্ষীরায় ‘স্যাম্পল’ ওষুধ বিক্রি, টাস্কফোর্সের অভিযান

১৭

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে নতুন ৫ সদস্য

১৮

ছয় মাসে ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেল বিডা

১৯

জোভান-নিহার ‘সহযাত্রী’

২০
X