আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দাবির প্রতিক্রিয়া

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দাবির প্রতিক্রিয়া। ছবি : সৌজন্য
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দাবির প্রতিক্রিয়া। ছবি : সৌজন্য

আবু সাঈদ আল মাহমুদ, জাতীয় সংসদের হুইপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বিভিন্ন সময়ে লবিংয়ের মাধ্যমে পশ্চিমা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নানা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নানাবিধ লেখালেখি করেন, গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রচার করেন। ওই দেশগুলোতে লবিং ফিস গ্রহণ তাদের আইনে বৈধ। কিন্তু আমাদের দেশের আইনে এ ধরনের ফিস গ্রহণ বা প্রদান উভয়ই অপরাধমূলক কার্যক্রম। যে দেশের আইনে যাই বলা হোক—এই ধরনের ফিস গ্রহণ নৈতিকতা পরিপন্থি।

যারা প্রতিনিয়ত এথিকসের কথা বলেন, লবিং মানি গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের এথিকস আই অন্ধ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন জানিয়েছিলেন, জনমত গঠনে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার গণহত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে, তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে সর্বান্তকরণে। কিন্তু আমরা সেই দগদগে ঘা মুছে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন করেছি এবং তা ধরে রেখেছি।

জঙ্গিবাদ দমন করে শান্তিময় পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য নীতির সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি। কিন্তু তাদের কতিপয় জনপ্রতিনিধি, ফার্মস এবং সরকারি কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশের দেশবিরোধী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক সেবায় মুগ্ধ হয়ে কিছু খণ্ডিত তথ্য বিশ্বাস করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করছেন—যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

যারা এই বিবৃতি বা অনুরোধপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও পাঠের অনুরোধ করছি। ২০২২ সালেও বাংলাদেশের গণতন্ত্র সূচক দুই ধাপ এগিয়েছে। আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে অতীতে তাদের সেবাদাসগণ অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু এখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পেশাদার, রাজনীতি নিরপেক্ষ এবং উন্নত শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারক হিসেবে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় প্রথম সারির অবদান রেখে চলা চৌকষ বাহিনী। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় সম্পদ এবং গর্ব করার মতো ইতিবাচক ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের র‌্যাব জঙ্গিবাদ দমন, মাদক প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করার পূর্বে ওইসব বিদেশিদের এই অঞ্চলের শান্তি রক্ষার বিষয়ে মনোনিবেশ করা সমীচীন। আজকের বাস্তবতায় অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবলমাত্র বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি রক্ষার জন্য একজন অপরিহার্য রাষ্ট্রনেতা। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের অবস্থান ও অপরিহার্যতা বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বিবৃতিও ইঙ্গিত বহন করে।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের

বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

সরকার-নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে : মঈন খান

শঙ্খের ভাঙনে বিলীন ধানি জমি, আতঙ্কে উপকূলবাসীরা

টোকিওর হোটেলগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

পাক-ভারত উত্তেজনায় আইপিএল স্থগিত

গাছের ‘তেলে’ দৌড়াল ইঞ্জিন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মঞ্চে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ক্ষেপণাস্ত্র চালাল উত্তর কোরিয়া

জবি ম্যাথ ক্লাবের দায়িত্বে সিফাত ও নয়ন  

১০

পরোয়ানা নিয়ে সাজেদুলের বাড়ি যাওয়া এসআই প্রত্যাহার

১১

যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু করেছে দাবি শেবাগের

১২

যমুনার চরে ফসলের বিপ্লব

১৩

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এখন জিয়া মঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ পদে

১৪

রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিটে’ খেপেছে যুক্তরাজ্য

১৫

৩০ ভারতীয় কামিকাজে ড্রোন ভূপাতিত, নিহত ২

১৬

বোমা আতঙ্কে কাঁপছিলেন আইপিএল চিয়ারলিডার, ভিডিও ভাইরাল

১৭

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ 

১৮

ভয়ে ভারত ছাড়তে চাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা

১৯

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো পিএসএল

২০
X