দেড় বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শ্রমিক দলের নেতা আবদুল জব্বার হাওলাদার। আর ৮ মাস আগে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম সুমন। তবে সম্প্রতি তাদের দুজনের নামে মামলা করেছে রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এজাহারে বলা হচ্ছে, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বাঙলা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন তারা।
আবদুল জব্বার ছিলেন মিরপুরের দারুস সালাম থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। আর শফিকুল ইসলাম ছিলেন সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৮ জুলাই বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাঙলা কলেজে হামলা করেন তারা। সেসময় কলেজের গেট-ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছেন এবং বাইসাইকেল পুড়িয়েছেন এই দুই নেতা।
গত ১৯ জুলাই মিরপুরের দারুস সালাম থানায় মামলা করেন সরকারি বাঙলা কলেজের অফিস সহকারী মাহিদুর রহমান। এতে ১০৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আসামির তালিকায় আছেন আরও ৫০০ জন। এর মধ্যে আবদুল জব্বারকে ২ নম্বর আসামি এবং শফিকুল ইসলামকে ৭৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মাহিদুর রহমান বলছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছে। সেই অনুযায়ী মামলায় আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে। এখন পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।
এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার ওসি শেখ আমিনুল বাশার বলেন, সরকারি বাঙলা কলেজ কর্তৃপক্ষের হয়ে বাদী মামলা করেছেন। কীভাবে মারা যাওয়া দুজনকে আসামি করা হয়েছে, সেই বিষয়ে বাদীকে প্রশ্নও করা হয়েছিল। বিষয়টি আদালতকেও অবহিত করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির সময় মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা রুবেল হোসেন। ওই মামলায় ১২০ জনকে এজাহারনামীয় এবং আরও ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দুটির এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামিরা বিএনপি, শ্রমিক দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দারুসসালাম, শাহ আলী, মিরপুর, পল্লবী, রূপনগর ও কাফরুলের থানা ও ওয়ার্ড কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
মন্তব্য করুন