বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। হত্যাকারীরা যদি মনে করে- বিদেশে পালিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
এমরান সালেহ প্রিন্স এ দিন ছাত্র-গণবিপ্লবে ঝিনাইগাতি উপজেলায় নিহতদের কবর জিয়ারত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
সকালে উপজেলার জরাকুড়া গ্রামে শিক্ষার্থী শহীদ সারদুল আশীষ সৌরভ এবং দুপুরে শালচূড়া গ্রামে মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ আশরাফুল ইসলাম আলহাজ ও গার্মেন্টস কর্মী শহীদ শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে তাদের কবর জিয়ারত, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
পরে দুটি পথসভায় বক্তব্য দেন এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি। গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে না। আন্দোলনের প্রথম ধাপের বিজয় অর্জন হয়েছে। কিন্তু পরিপূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আন্দোলনের বিজয় নস্যাৎ করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে ষড়যন্ত্রে উসকানি দিচ্ছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়ন করতে দেবে না ছাত্র-জনতা। আন্দোলনে নিহতদের জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদানপূর্বক শহীদদের অসচ্ছল পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
প্রিন্স বলেন, বিএনপি সাধ্যমতো নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। বিএনপি জনগণের রায় নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
এ সময় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আউয়াল চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান রুপম প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন