বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সব সেক্টরে এমনভাবে রাজনীতিকরণ ও দলীয়করণ করেছে যে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আওয়ামী প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না, আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যে স্বাদ সেটা তারা অনুভব করতে পেরেছে। আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধ দেখেনি বা এই নতুন প্রজন্মের যারা ছাত্র-জনতা যুদ্ধ দেখেনি, আমরা এখন বুঝতে পারছি- স্বাধীনতার মর্ম কতটুকু, এর মূল্যই বা কতটুকু।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরখানে উত্তরখান থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিলপূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহত উত্তরখান থানার ৪৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের রহমানসহ শহীদ ছাত্র-জনতার রুহের মাগফিরাত কামনায় এ দোয়া মাহফিল হয়।
আমিনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে আজকে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন, আজকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। আমরা আর কোনো মানবাধিকার লুণ্ঠিত হউক- সেই কাজ দেখতে চাই না। আমরা চাই- বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা-স্বপ্ন, বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হউক, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হউক- সেই সরকার বাংলাদেশের জনগণের কথামতো চলবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু যড়যন্ত্রকারী প্রেতাত্মারা আপনাদের অনেককে ঢাল বানিয়ে এখন নব্য বিএনপি তৈরি হয়েছে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যারাই এই ধরনের নব্য বিএনপিকে সুযোগ করে দিবেন, তাদের বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে না বা যোগ্যতা থাকবে না।
তিনি বলেন, দলের পদধারী হয়েও বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে অনেকে মাঠে ছিলেন না। কিন্তু যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে তাদের চেয়ে এখন তারাই বেশি একটিভ হয়ে গেছে। যারা মাঠে কাজ করেনিম তারা এখন বেশি সিরিয়াস। আমরা এই বিষয়টি খেয়াল রাখছি।
দোয়া মাহফিলে নিহত জুবায়ের রহমানের বাবা সবুর বেপারি কান্নাভরা কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন। আমিনুল হক তার বক্তব্য শুনেন এবং শহীদ জুবায়েরসহ সদ্য গণআন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আখতার হোসেন, হাজী মোস্তফা জামান, মহানগরের সাবেক সদস্য আহসান হাবিব মোল্লা, হাজী মো. ইউসুফ, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহ আলম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, মোজাম্মেল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য করুন