কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পূজামণ্ডপে ইসলামী গান গাওয়া নিয়ে ঢাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি যা বললেন

ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামি গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে। নগরীর জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামে একটি ইসলামি গানের দল ওই গান পরিবেশন করে। গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত একটি পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমীর শিল্পীরা একটি গান পরিবেশন করেন। এই শিল্পীরা ইসলামি ঘরানার। একটি ভিডিওতে আমি দেখলাম তারা আব্দুল করিমের আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম এই গানটা গাইছে। গানের শেষে শিল্পীদের একজন উনাদের ইনভাইট করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদকে ধন্যবাদ জানান। এরপর পূজা উদযাপন পরিষদের একজন বললেন, শিল্পীরা অসাম্প্রদায়িক এক বাংলাদেশ গড়ার যে সংগীত পরিবেশন করলেন এই জন্য উনাদের ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, এইখানে, এই যে পূজা উদযাপন পরিষদ উনাদের দাওয়াত দিলেন আর উনারা যে গেলেন, সেকুলার রাজনীতির জায়গা থেকে এইটা তো অনেক ভাল কাজ। যে গান টা গাইলেন, এইটার চয়েজও তো ভাল। অন্য একটা ভিডীও তে আরেকটা গান দেখসি, যেইটা ওইখানের জন্য এপ্রোপ্রিয়েট না, কিন্তু ওই গানটার মধ্যেও এই লাইনগুলো ছিল ‘ভিন ধর্মের কারো উপর যদি কোন মুসলিম করে অবিচার, শেষ বিচারে রাসুল নিজে দাঁড়াবে বিপক্ষে তার’। ক্লিয়ারলি, গানের চয়েজেও তারা ট্রাই করছে সম্প্রীতির গান পিক করতে।

মির্জা গালিব বলেন, প্রশ্নটা থাকে ইসলামি জায়গা থেকে। হিন্দুরা তাদের পূজার অনুষ্ঠান ভাল ভাবে করবে সেইটা নিশ্চিত করা, সেইটার জন্য হেল্প করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কিন্তু ইসলামি থিওলজিতে যেহেতু পূজা অগ্রহণযোগ্য, সেহেতু সেইখানে যাওয়া এবং পার্টিসিপেট করার ক্ষেত্রে ইসলামের দিক থেকে রেজার্ভেশান আছে।

শিবিরের সাবেক এই নেতা বলেন, ফিকহী জায়গা থেকে প্রশ্ন তুলতে চাইলে তুলেন (আমিও তুলতেছি সেই প্রশ্ন), কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি যে আগ্রহ দুই পক্ষই দেখাইল সেইটাকে সেকুলার জায়গা থেকে সমালোচনা করার মত আহাম্মকি কইরেন না। বরং এই সম্প্রীতি ইসলামের সীমানা ক্রস না করে কিভাবে করা যায়, আসেন সেই আলাপ করি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে একদল তরুণ। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শিরোনামে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করছেন। সংগীতটির গীতিকার চৌধুরী আবদুল হালিম। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনার অভিযোগে চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামিক সংগীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়ায় সজল দত্তকে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বরিশালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ৩৫, আক্রান্ত সাড়ে ১৫ হাজার

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালা

মিরপুরের সেই গুদাম থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস, দূরে থাকার পরামর্শ

বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ভোট দিলেন মা

এবার ধানমন্ডিতে আগুন

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ৯ জন

জামায়াত আমিরের সঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

অভিনেতা পঙ্কজ ধীর আর নেই

শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে

দুই শতাধিক ভুয়া ভোটারকে আটকে দিল প্রশাসন   

১০

দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে প্রথম টেস্টে সহজ জয় পাকিস্তানের

১১

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা

১২

শিক্ষকদের ৩ দাবিতে উত্তাল শাহবাগ

১৩

কলাবাগানে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিল পুলিশ

১৪

সন্ধ্যায় দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছে ঐকমত্য কমিশন 

১৫

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

১৬

সেই দুই পুলিশ কর্মকর্তার দুদকে বদলির আদেশ বাতিল

১৭

সরকারি কাজে বাধা, যুবদল নেতা বহিষ্কার

১৮

সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ

১৯

দুঃসাহসী সেই চিকিৎসকের ভাগ্যে কী ঘটেছে?

২০
X