সরকারের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়’ দিয়ে প্রার্থীশূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
তিনি বলেন, বিগত সেনাসমর্থিত ওয়ান-ইলেভেন সরকার দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতাসহ দলীয়প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ তাদের নেতা-নেত্রীদের মামলা প্রত্যাহার করলেও কণ্ঠরোধ করতে বিরোধীদের মামলা প্রত্যাহার করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের প্রার্থীশূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় এখন এসব মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে- যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দলীয় মহাসচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকে বিচারিক আদালত তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের ঘটনায় সোমবার (১৪ আগস্ট) তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিতও ছিল না। সুতরাং রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক্ষেত্রে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা বা দুদক আইনের ৫(২) ধারা অভিযোগ আনা প্রযোজ্য না।
তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া কারও বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা আইন সম্মত নয়।
এলডিপি সভাপতি বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ীও রেদোয়ান আহমেদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। তা ছাড়া অভিযোগকারী জনৈক নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানকালে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযাগ আনেননি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এসব অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দেন।
মন্তব্য করুন