লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, এখন সরকারের সামনে একটিই পথ খোলা তা হলো সসম্মানে পদত্যাগ করা। সংসদ বিলুপ্ত করা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, খুব বেশি দেরি করলে এবং অহংকার করে ক্ষমতা আকড়ে রাখার চেষ্টা করলে, দেশ অরাজকতার দিকে যাবে। ওই অবস্থার নিয়ন্ত্রণ জনগণের হাতে চলে যাবে। তখন যা হওয়ার তাই হবে, সময় থাকতে সতর্ক হোন। প্রশাসন এখন আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এলডিপি আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মিছিলটি মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
কর্নেল অলি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় আছে। মোট বৈদেশিক ঋণ আনুমানিক ১১৪ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২০ বিলিয়নে ঠেকেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রতিমাসে প্রয়োজন প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। বাদ বাকি শুধু ৪৫ দিনের জন্য রিজার্ভ ব্যাংকে থাকবে। প্রত্যেক ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে টাকার মান প্রতি সপ্তাহে হ্রাস পাচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা খুবই সীমিত। আয়-ব্যয়ের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নাই। আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে পার্থক্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সরকারের পক্ষে এ সমস্যা উত্তরণ সম্ভব নয়। কারণ তাদের ওপর মানুষের আস্থা নাই।
গণমিছিলে অংশ নেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক কারিমা খাতুন, কেন্দ্রীয় নেতা বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আবুল হাশেম, অ্যাডভোকেট নিলু, মেহেদী হাসান মাহবুব, আলী আজগর বাবু, ওমর ফারুক সুমন, মো. সোলায়মান, সাহাদাত হোসেন মানিক, অবাক হোসেন রনি, অ্যাডভোকেট নূরে আলম, আমান সোবহান, এফএমএ আল মামুন, খালিদ বিন জসিম, এবিএম সেলিম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন