জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
রাতে দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডা. জাহিদ একজন সজ্জন ব্যক্তি ও খ্যাতিমান চিকিৎসক। শুধু বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তাকে টার্গেট করে পুলিশ আটক করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে তার আজিমপুরস্থ বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর শুনে তার বাসার সামনে তার সহকর্মী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর উপস্থিত হয়। এ সময় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা আকস্মিকভাবে সেখানে হানা দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যায়।
রিজভী বলেন, সরকার বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই আবারও নতুন করে গুমের মতো মনুষ্যত্বহীন খেলা শুরু করেছে। তাদের পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হলেও বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গোয়েন্দা বিভাগ সেটি স্বীকার করছে না। তাদের একটি ভয়ানক চক্রান্তের ফাঁদে ফেলার জন্যই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। তাদের উৎপীড়ন করে তাদের মুখ দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অপচেষ্টা চলছে বলে সবাই মনে করছে।
তিনি অবিলম্বে মমিনুল হক জিসানসহ উল্লিখিত ছাত্র নেতৃবৃন্দকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জোর আহ্বান জানান। অন্যথায় দায়ী ব্যক্তিদের চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এই বিএনপি নেতা।
মন্তব্য করুন