জনগণের উত্তাল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে বলে দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, একটি কথাই বলা যায়- শেখ হাসিনা সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। চলমান আন্দোলনেই তাদেরকে বিদায় নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় টুকু এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, সরকার তাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, তারা একদলীয় শাসনে বিশ্বাসী। তারা গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এরা মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা।
তিনি বলেন, সরকার নাকি দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে। তাহলে সরকারের এত ভয় কেন? এত উন্নয়ন করে থাকলে তো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই জয়ী হওয়ার কথা। আসলে তারা উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ লুটপাট করেছে। লুটপাটকৃত সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।
যুবদল সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষ কখনও মাথা নত করে না। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের সরকার গঠিত হবে।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে নির্বাসিত রাখা হয়েছে। আজকে দেশবাসী শপথ নিয়েছে- যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফিরে না আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন এবং তারেক রহমান বীরের বেশে এদেশে ফিরে না আসবেন- ততদিন কেউ রাজপথ ছাড়বে না।
সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির সিদ্দিকী, জাকির হোসেন নান্নু, তরিকুল ইসলাম বনি, মাহবুবুল হাসান পিংকু, গোলাম মোস্তফা সাগর, হারুনুর রশীদ শিশির, কামরুজ্জামান দুলাল, রেজাউল করিম পল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী, জাভেদ হাসান স্বাধীন, এম কামরুজ্জামান, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন