কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউনূস-মোদির বৈঠক দরকার ছিল : মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পুরোনো ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পুরোনো ছবি

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছে বিএনপি।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকালে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এ বৈঠকটি নিশ্চয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার (বৈঠক) প্রয়োজন আছে এবং প্রয়োজন ছিল। এ বৈঠকের জন্য আমাদের সরকার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চেষ্টা করছিল। এ সময়ে একটা বৈঠক হওয়া দরকার ছিল, তারা করেছেন। তবে আমি জানি না বৈঠকের অভ্যন্তরে কি আলোচনা হয়েছে, বিশদ না জানলে আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা, সীমান্ত হত্যা, তিস্তা বাঁধ প্রকল্প প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠকের পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি না জেনে কিছু বলতে পারব না। যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে আপনার মুখ থেকে শুনলাম, নেহাতই গুরুত্বপূর্ণ এগুলো।’

‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এবং এই বিচার সময়ের দাবি, জনগণের দাবি, আমাদের দাবি। যদি শুধু শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তের বিষয়ে কথাবার্তা হয়ে থাকে… তাহলে আমি একটু যোগ করতে চাইব, উনার (শেখ হাসিনা) যেসব সাঙ্গ-পাঙ্গ আছে সেখানে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরও যেন ফেরত পাঠানো হয়।’

‘শেখ হাসিনা বিচার হওয়া জরুরি’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ভারতের উচিত শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে পাঠিয়ে দেওয়া যাতে তার বিচারটা হয়। কারণ একটা ফ্যাসিস্টের বিচার হওয়া খুব জরুরি। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সারা বিশ্বের জন্য খুব জরুরি। কোনো ফ্যাসিস্ট কখনো বিনা বিচারে যেতে পারে না।’

তিনি বলেন, আমি মনে করি, তিস্তাবাঁধ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই। তিস্তার পানি আমাদের দিতে হবে এবং তিস্তা বাঁধের প্রয়োজনীয় সংস্কার, বাঁধ আমাদের করতে হবে। তিস্তা ও ফারাক্কার বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দেবে না।

‘পরিবর্তনের পর এখন জনগণ শক্ত অবস্থানে’

মির্জা আব্বাস বলেন, এখন বাংলাদেশের মানুষ একটা শক্ত অবস্থানে আছে। ভারতের সঙ্গে যেসব অসম চুক্তি বিগত সরকারের আমলে হয়েছে এখন সেসব চুক্তি বাতিল করা দরকার। যেসব অসম চুক্তি কার্যকর হয়নি সেগুলো বাতিল করতে হবে।

‘নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে’

মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। এক গ্রুপ আছে দেশে, আরেক গ্রুপ আছে বিদেশে যারা নাকি নির্বাচনকে বাদ দিয়ে সংস্কারের কথা বলছেন। আবার বলার চেষ্টা করছেন সংস্কারের কথা শুনলে নাকি বিএনপির মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার এখানে তীব্র আপত্তি। বিএনপি কখনো সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি বরাবর সংস্কারের পক্ষে, একই সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনেরও পক্ষে- দুটিরই প্রয়োজন আছে। কিন্তু এমন সংস্কারের পক্ষে বিএনপি নয় যেটি দেশের জনগণের স্বার্থে, জনগণের অধিকারের বাইরে চলে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশেষ সিন্ডিকেটেও পাস হয়নি জবির জকসু গঠনতন্ত্র

ভারতের এই হামলাকে কাপুরুষতা বললেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী

মার্সিনিয়াকের রেফারিং নিয়ে উয়েফার তদন্ত দাবি পেদ্রির

কালীগঞ্জে সাদা পোশাকে পুলিশের হামলা ও মামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতির সময় গ্রেপ্তার ৫

স্ত্রীকে মারধরে নিষেধ করায় বড় ভাইকে পিটিয়ে মারল ছোট ভাই

ভারতের পাকিস্তানে হামলা, গম্ভীর-শচীন-ধাওয়ানরা উচ্ছ্বসিত

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬

পাকিস্তানের যে ৯ স্থানে হামলা চালায় ভারত

জাহাঙ্গীর পাটোয়ারীকে বহিষ্কার করল বিএনপি

১০

পাকিস্তানে ভারতের হামলায় রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

১১

সংঘর্ষে ছাদ উড়ে যাওয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

১২

বর্ণাঢ্য আয়োজনে আইইবি’র ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১৩

কোরবানি ঈদের আগের দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস, প্রজ্ঞাপন জারি

১৪

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল বিসিসিআই

১৫

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সবাইকে কাজ করতে হবে : আলী রীয়াজ

১৬

খালেদা জিয়ার জন্য বানানো কারাগারে থাকবেন আ.লীগ নেতারা

১৭

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে না জড়িয়েও বড় ক্ষতির মুখে ফ্রান্স

১৮

পাকিস্তানে থাকা নাহিদ-রিশাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বিসিবি

১৯

‘কোনো যুদ্ধবিমান সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি’ দাবি পাক আইএসপিআরের

২০
X