বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, বাংলাদেশকে তারা ফিলিস্তিনের গাজা এবং ইউক্রেন হিসেবে দেখতে চান না। রাখাইনে মানবিক করিডরের বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। সংসদেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএসপি দেশ এবং জাতির কল্যাণে রাজনীতি করে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
শনিবার (০৩ মে) রাজধানীর মিরপুরের একটি রেস্টুরেন্টে বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে দলটির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
নারী সংস্কার কমিশনের বিষয়ে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোরআন-হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, দেশে যেকোনো মূল্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো সময় জনগণের মাঝে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তখন হয়তো হাসিনার মতো কারোরই পালানোর পথ থাকবে না। তাই মব বন্ধ করে আইন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
সভায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিএসপির কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ২১টি উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।
শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে এবং বিএসপির অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশিকুর রহমান হাশেমী, মাওলানা রুহুল আমিন ভুঁইয়া চাঁদপুরী, মোঃ মনির হোসেন, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, সোহেল সামাদ বাচ্চু, মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম বারী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শাহ আলম অভি, যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পায়েল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. নুরুল আলম আনোয়ার হিরণ, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুন, জোবায়ের আহমেদ মারুফ, মোঃ আক্তার ভূঁইয়া, মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহেল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী সহ বিভিন্ন জেলা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতারা।
মন্তব্য করুন