ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আপনাকে যাতে জুলাইয়ের গাদ্দার বলে ঘোষণা দেওয়া না লাগে’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী। ছবি : সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেছেন, আপনাকে যাতে জুলাইয়ের গাদ্দার বলে ঘোষণা দেওয়া না লাগে সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাই আর আপনার সহযোগিতা চাই।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে হাদী বলেন, আপনি বিভিন্ন কাজের জন্য বিদেশ থেকে এক্সপার্ট এনেছেন। কিন্তু কিভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যায়, জুলাই গণহত্যার বিচার করা যায় এজন্য এখন পর্যন্ত একজন ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্টও আপনি আনেন নাই। একটা ট্রাইবুন্যাল করছেন সেটা সবচেয়ে ধ্বজভঙ্গ ট্রাইব্যুনাল। বিশ্বের অনেক বড় বড় প্রসিকিউটর থাকার পরও আপনি তাদের আনতে পারছেন না কেন?

এই জুলাই গণহত্যার বিচার না করে আপনি যত ডেভেলপমেন্ট করবেন, কোনো ডেভেলপমেন্ট আপনাকে জনতার রেষ থেকে বাঁচাতে পারবে না। উন্নয়ন করে যদি কেউ বেঁচে যেত তাহলে খুনি হাসিনার পালানো লাগত না। আপনাকে যাতে জুলাইয়ের গাদ্দার বলে ঘোষণা দেয়া না লাগে সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাই আর আপনার সহযোগিতা চাই।

এ ছাড়া হাদী বলেন, আজকে আমাদের কারও প্রতি কোনো দায়ও নেই, দরদও নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আজকে দশ মাস পার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকারের রীতিমতো প্রসব বেদনা থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে রাতের আঁধারে ঢাকঢোল পিটিয়ে পরিবারসহ দেশ ত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে হাদী বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের দশ মাস পরে এসেও আমাদের বলতে হইতেছে, আপনারা কী করেন? আপনারা চুপ্পুকে (রাষ্ট্রপতি) অপসারণ করতে পারেন নাই, জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারেন নাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে পারেন নাই, আপনারা ক্ষমতায় বসে করেনটা কী?’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বলেন, এয়ারপোর্টে হামিদকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে কে ফোন দিয়েছে তার নাম বলেন। যদি না বলতে পারেন এই দায় প্রধানত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।

তিনি ছাত্র উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে ক্ষমতায় আছেন এতে লাভ হচ্ছে কার? বরং আপনারা থাকার কারণে অন্যান্য উপদেষ্টারা বলতে পারতেছে আমাদের সাথে ছাত্ররা আছে। আপনাদের বলি, আপনাদের যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে আপনারা পদত্যাগ করুন। আপনারা এই বলে পদত্যাগ করুন যে আমরা জনতার একটা দাবিও এই সরকারকে দিয়ে বাস্তবায়ন করাতে পারি নাই। আমরা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো উদ্যোগ নিতে পারি নাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ

থানায় ককটেল নিক্ষেপ, ৩ পুলিশ আহত

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে মধ্যরাতে হামজার পোস্ট

‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা ফটোকার্ড পোস্ট, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে থানায় সোপর্দ

ইতালিতে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ভুক্তভোগীদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’: জাতিসংঘ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত যে ৩২ দলের

‘হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় যেদিন কার্যকর হবে, সেদিন আমি আনন্দিত হবো’

সাবেক এমপি হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের

সড়ক অবরোধের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

১০

দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির

১১

আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ

১২

রায়ে ‘ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

১৩

বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ, আছেন যারা

১৪

শেখ হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী

১৫

গাজীপুর জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

১৬

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-ছেলেকে পেটাল গ্রাম পুলিশ

১৭

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান মারা গেছেন

১৮

নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সংকট দূর হবে না : কফিল উদ্দিন

১৯

পটুয়াখালীতে বিএনপির প্রস্তাবিত নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ

২০
X