রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিল্পবী সরকার গঠনের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পিলখানা গণহত্যা, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডির মতো নারকীয়তার চরম বহিঃপ্রকাশ সবশেষ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের বর্বরতার মধ্য দিয়ে ঘটেছে। আওয়ামী লীগকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ এবং জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে।
আওয়ামী দোসরদের সেফ এক্সিট দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টারা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, এমন মন্তব্য করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সংকট দূর করতে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বিপ্লবী সরকার দরকার।
এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে কোনো দ্বিমত পোষণ করা চলবে না বলেও জানিয়ে দেন তারা।
এদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে। রাতেই আন্দোলনে অংশ নেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ শীর্ষ নেতারা। এরই মধ্যে ১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েতের ঘোষণা দেন এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে বাদ জুমা এ জমায়েত শুরু হয়। ট্রাক দিয়ে তৈরি মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা।
সকাল থেকে এনসিপির কয়েক শ নেতাকর্মী বিক্ষোভ করেছেন। তারা কিছুক্ষণ পর পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
মন্তব্য করুন