ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, একটি রক্তস্নাত আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে তাড়িয়েছি, এবার প্রয়োজনে তরুণদের নিয়ে আবার গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নামতে হবে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয় ভাসানী ভবন মিলনায়তনে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ২৮ মে ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
রফিকুল আলম মজনু বলেন, তরুণরাই দেশের চালিকাশক্তি, সেই তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার অস্বীকার করে সমাজ এবং রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আজ যেই তরুণটির বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে, জন্মের পর থেকে অদ্যাবধি সে তার মৌলিক যে অধিকার ভোটাধিকার সেটাই প্রয়োগ করতে পারেনি। সে জানেই না- ভোট কী? কীভাবে ভোট দিতে হয়? অথচ এটাই তার প্রথম এবং প্রধান রাজনৈতিক অধিকার। তরুণদের এই রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। রাষ্ট্র যদি এই অধিকার দিতে ব্যর্থ হয় - তবে আমরা নিজেরাই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত করবো।
প্রধান বক্তা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, আমরা জনগণের ভোটাধিকার, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোনো মূল্যে আমরা জনগণকে অধিকার ফিরিয়ে দিব।
তিনি বলেন, আজ একটি গোষ্ঠী চর দখলের মতো বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করে লুটপাটে ব্যস্ত, তাদের লুটপাটের সাম্রাজ্য দীর্ঘস্থায়ী এবং নিরাপদ করতেই তারা নির্বাচন দিতে চায় না।
জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, সাইদুর রহমান মিন্টু, ফরহাদ হোসেন, যুবদল দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দল সভাপতি রুমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিস, ছাত্রদল পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক হান্নান মজুমদার, ছাত্রদল দক্ষিণের সভাপতি শামিম মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রহিম ভুইয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন