খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে, ততই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না।
তিনি বলেন, জাতির মুক্তির জন্য খেলাফত মজলিসের ৮ দফা মানতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তার আলেম-ওলামা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট সমাধানে খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার (১৬ জুন) ঢাকা মহানগরী শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল আজিজুল হকের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাবউদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো. জহিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল করিম, ইসলামী যুব মজলিসের অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের আলমগীর হোসাইন, শ্রমিক মজলিসের আমির আলী হাওলাদার, এইচ এম এরশাদ, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, সেলিম হোসাইন, মুজিবুল হক, জিয়া উদ্দিন আকাশ, এ বি এম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ-পরবর্তী একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কসংলগ্ন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাপ্ত হয়।
একই দাবিতে আজ নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম মহানগরী, সিলেট মহানগরী ও জেলা, ফেনী, কক্সবাজার, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, বরগুনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন