সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২৭ মে) একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আমির বলেন, ‘দল হিসেবে দাবি করি না, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।’
এ সময় তাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরম্যান্সে কষ্ট পেয়ে থাকলেও ক্ষমা করার জোর দাবি জানান ডা. শফিকুর।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযোদ্ধা হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে- সত্যকে চেপে রাখা যায় না, সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদের চরম জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার মহিমায় দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তিলাভ করেছেন।
জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো আনরিসলভড মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখানেও সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন জনগণের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’
প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায়, দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জনাব মোবারক হোসাইন, নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন, জসিমউদ্দীন সরকার, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, রেজাউল করিম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহমাদ মাবরুর, এটিএম আজহারুল ইসলামের ছেলে তাসনিম আজহার সুমন, আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল এবং এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার আইনজীবীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন