বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধের রাজনীতি করে না, করবেও না। জামায়াতে ইসলামী শত জুলুম-নির্যাতনের পরও কখনো নিজের হাতে আইন তুলে নেয়নি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর উদারতাকে দুর্বলতা ভাবার সুযোগ নেই। প্রতিটি জুলুম, নির্যাতন, খুন, গুমের জবাব দেওয়ার মতো সক্ষমতা জামায়াতে ইসলামীর ছিল এবং আছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন নিজ হাতে তুলে নেয়নি।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী- ডেমরা-কদমতলীর একাংশ) আসনের ভোটকেন্দ্র কমিটির দায়িত্বশীল সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকার হরণ করেনি উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কেউ কেউ ক্ষমতার জন্য জনগণের অধিকার হরণ করতে দেখা যায়। নাগরিক যাতে সেবা নিতে না পারে সেজন্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় তালা মেরে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনি। এসব কর্মকান্ডে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিরবতায় জাতি ক্ষুব্ধ। তারা জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, জামায়াতে ইসলামী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করছে। দেশবাসীর যে কোনো প্রয়োজনে দুর্যোগ, দুর্দিনে জামায়াতে ইসলামী সবার আগে, সবখানে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দল-মত, ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামী সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জামায়াত বিশ্বাস করে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিক সমান। সেজন্য জামায়াত সব নাগরিকের কল্যাণে ও প্রয়োজনে সমান দায়িত্ব পালন করছে। দেশবাসী আগামীতে জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিলে দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সব নাগরিকের অংশগ্রহণে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দেওয়া হবে।
তিনি বৈষম্যহীন একটি সুখি-সমৃদ্ধ, আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা- ৫ আসনের পরিচালক অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের সভাপতিত্বে এবং মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা- ৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ডেমরা দক্ষিণ থানা আমির মেছবাহ উদ্দিন মীর্জা হেলাল, ডেমরা উত্তর থানার আমীর মিজানুর রহমান, ডেমরা পূর্ব থানার আমীর মোজাফফর হোসেন এবং ডেমরা পশ্চিম থানা আমির মুহা. দেলোয়ার হোসাইনসহ থানা সেক্রেটারিরা এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
মন্তব্য করুন