ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, চব্বিশ জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষাই ছিল দেশকে স্বৈরতন্ত্র থেকে রক্ষা করা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে দলের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে ২৮ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি পর্যালোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো এমনভাবে সংস্কার ও নির্মাণ করা যাতে আর কেউ স্বৈরাচার না হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, সংস্কার নিয়ে অনেক কাজ হলেও স্বৈরতন্ত্রকে প্রতিরোধকারী আইনি কাঠামো নির্মাণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায় নাই, রাষ্ট্রের মূলনীতি প্রসঙ্গে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচগুলোকে প্রতিষ্ঠা করা যায় নাই। এই যখন অবস্থা তখন দেশের গণমানুষ আগামী ২৮ জুন ঢাকায় উপস্থিত হয়ে সংস্কারের দাবিতে আরেকটি গণজোয়ার প্রদর্শন করবে ইনশাআল্লাহ।
ইউনুস আহমদ বলেন, ২৮ জুন পিআর পদ্ধতির পক্ষে রাজনৈতিক দলসমূহ ও গণমানুষের সম্মিলিত ঐক্যের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন হবে। কারণ বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরুদের ওপরে শাসনের সুযোগ করে দেয়। এই ব্যবস্থায় ৪০ ভাগ ভোট পেয়ে শতভাগ ক্ষমতা চর্চা করে যা গণতান্ত্রিক চেতনা এবং নৈতিকতার মানদণ্ডে যথার্থ না। বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিটি নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ মানুষের ভোট পঁচে যেতো। এই অন্যায্য থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। এই সত্য মানুষ বুঝতে পেরেছে। তারই একটি প্রতিফলন হবে আগামী ২৮ জুন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই মাঠ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসার জন্য যানবহন ঠিক করে ফেলেছেন। জমায়াতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ দেশের সকল ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন এবং পিআর পদ্ধতির পক্ষে থাকা সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে দাওয়াত করা হয়েছে এবং প্রায় সকলেই দাওয়াত গ্রহণ করে মহাসমাবেশে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। আগামী ২৮ জুনের মহাসমাবেশে মিডিয়ার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। জনমত গঠনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাই মুখ্য। ২৮ জুনের মহাসমাবেশ ও তার বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে।
মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কেএম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, হাজি শেখ মুহাম্মাদ নুরুন্নবী, মাওলানা মানসুর আহমাদ সাকী, ডাক্তার শহিদুল ইসলাম, কে এম শরীয়াতুল্লাহ।
মন্তব্য করুন