কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার পরিকল্পিত চক্রান্ত : মির্জা ফখরুল

রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘তারেক রহমান : দ্যা হোপ অব বাংলাদেশ’ সংকলিত গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘তারেক রহমান : দ্যা হোপ অব বাংলাদেশ’ সংকলিত গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে বিএনপির বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চলছে তা পরিকল্পিত ‘চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আজকে যে অপপ্রচার হচ্ছে এর পেছনে কিন্তু একেবারে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত রয়েছে। সেই চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধবংস করে দেওয়া। সেই চক্রান্ত হচ্ছে যে, নেতা যিনি উঠে আসছেন, যার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেই তারেক রহমান সাহেবকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া, তাকে খারাপ জায়গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা।

রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘তারেক রহমান : দ্যা হোপ অব বাংলাদেশ’ সংকলিত গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক সাহেবের কাছে এই নেতৃত্বটা এসেছে অনেক দিক দিয়ে। পারিবারিক দিক দিয়ে যে কথাটা আপনারা অনেকে বলেছেন যদিও এই কথাটা শুনতে আমার ভালো লাগে না। কারণ যিনি নেতা আমার মনে হয় তাকে এতে কিছুটা খাটো করা হয়… তার যে নিজস্ব গুণ-সত্ত্বাগুলো আছে সেটাকে পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত করে আমরা বোধহয় সেটাকে ছোট করে দেই। তারেক রহমান সাহেবের নিজস্ব গুণ আছে। যে গুণগুলোর জন্য তিনি আজকে এই পর্যন্ত এসেছেন। না হলে আসতে পারতেন না।

তিনি বলেন, কেন বলছি আপনাদেরকে এই কথাগুলো? আমার অভিজ্ঞতা, আমি বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি একসাথে। তারেক রহমান সাহেব দায়িত্ব পাওয়ার পরে অর্থাৎ ম্যাডাম জেলে যাওয়ার পরে উনার সঙ্গে সরাসরি কাজ করছি। আমি দেখেছি যে, অসাধারণ একটা সাংগঠনিক দক্ষতা তার আছে। এটা খুব কম রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছে। অসাধারণ। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিশাল একটা অংশকে সংগঠিত করে ফেলতে পারেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের গ্রামে একেবারে ওয়ার্ডে পৌঁছে গেছেন, সে কারণে তিনি সংগঠিত করে ফেলতে পারেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপির যে একটা বিশাল যুব সমাজ আছে; ছাত্র, যুবক শক্তি আছে এটাকে সংগঠিত করতে হবে। বিএনপির রাজনীতিটা তাদের মাথার মধ্যে ঢুকানোর চেষ্টা করতে হবে, এটা আমাদেরকেই করতে হবে। এই কথাটা এজন্য বলছি যে, আমরা গত সময়গুলোতে শুধু লড়াই করেছি। কিন্তু সেই লড়াইটাকে সমৃদ্ধ করবার জন্য যে, জ্ঞানটা সেটা কিন্তু আমরা অনেকে অর্জন করতে পারিনি। আজ তা না হলে যে কথাগুলো আমাদের শুনতে হচ্ছে সেই কথাগুলো হয়ত শুনতে হতো না আমাদের।

২০০২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার চীন সফরের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমারও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে প্রচণ্ড শীত ছিল ডিসেম্বর মাস বরফ পড়ছিল। বাইরে অনুষ্ঠান করা সম্ভব ছিল না। সেজন্য গ্রেট হলের ভেতরে ম্যাডামকে গার্ড অব অনার রিসিপশন দেওয়া হলো। ওই অনুষ্ঠানে গার্ড অব অনারের পরে ম্যাডাম চীনের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা যারা তার সাথে গিয়েছিলাম তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই পরিচয় পর্বে আমার মনে আছে আমার পাশেই ছিলেন আমান উল্লাহ আমান তার পাশেই ছিলেন তারেক রহমান সাহেব। যখন উনার সামনে গিয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, মাই সান। প্রধানমন্ত্রী তার (তারেক রহমান) হাতটা শক্ত করে ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললেন, ক্যারি দ্যা ফ্ল্যাগ অব ইউর ফাদার এন্ড মাদার।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই ফ্ল্যাগটা বহন করছেন দেখেই আজকে কিন্তু তারেক সাহেব তারেক সাহেব এই কথাটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। উনি নির্যাতন সহ্য করেছেন, শারীরিক নির্যাতন সহ্য করেছেন, নির্বাসিত হয়েছেন, একা থেকেছেন। এই যে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সব কিছু মিলিয়ে তারপরও তারেক রহমান সাহেব মাথানত করেননি তার মায়ের মতোই। উনার মা যেমন মাথানত করেননি, তারেক সাহেবও করেননি। তারেক রহমান নিঃসেন্দহে আমাদের হোপ আমাদের ভবিষ্যত। বিএনপি সমর্থিত অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগারদের বিগত আন্দোলনে তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে সব সময়ে তাদের পাশে থাকার কথাও বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহর সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক সাথাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ বিএনপির মতাদর্শের অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগাররা বক্তব্য রাখেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভবনকে যার সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে কমিশনের নতুন ফর্মুলা

পিএসজিকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতল চেলসি

লন্ডনে সাউথেন্ড বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে

‘হাসিনাকে বাংলার মসনদে ফেরাতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে’

আবু সাঈদ হত্যায় ফরেনসিক বিশ্লেষণে দুটি বিষয় স্পষ্ট : আসিফ নজরুল

সোহাগকে বাঁচাতে কেন এগিয়ে আসেননি বাহিনীর সদস্যরা, জানালেন আনসারপ্রধান

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

১০

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

১১

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

১২

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

১৩

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৪

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১৫

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

১৬

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

১৭

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

১৮

সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম

১৯

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো : বিশ্বব্যাংক

২০
X