ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমকে নিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের স্ট্যাটাসের জবাব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভী।
রোববার (৩ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, জুলাইয়ের হামলাকারী হাসান সাইদিকে জড়িয়ে সাদিক কায়েমকে অযথা হিউমিলেয়েট করা হচ্ছে। এই হাসান সাইদি আমার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র। আমি তাকে ১৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে হামলা করতে দেখি। মামলায় নামও দিছি আমি। তাছাড়াও তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করানোর ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে বড় রোল প্লে করেছিলাম, প্রুফসহ সব কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম।
তিনি আরও লেখেন, সে যখন লুকিয়ে ILET DU তে পরীক্ষা দিতে আসে তাকে পাকড়াও করে ছোটভাই মঈনুদ্দিন মাহাদী। এরপর তাকে পুলিশে দেই, মামলা করি- সে জেলেও যায়। আমি এক সময় শিবির করেছি। এই হাসান সাইদি যদি কোনো দিন শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেও থাকে তাও আমি তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করেছি। মামলার চার্জশিটও রেডি।
রিজভী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, সাদিক যদি সাইদিকে বাঁচাইতেই চাইতো তাহলে সাদিক কায়েম আমাকেই বলত। আমি তার রুমমেট ছিলাম এবং আমি এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লেয়ার। কিন্তু সেটা সে করেনি সুতরাং সাইদি ইস্যুতে হুদাই আলাপ দিয়ে লাভ নাই। এসব জিনিস এনসিপি গঠনের বহু আগে। সুতরাং কেউ এনসিপি-বাগছাস-শিবির হিসেবে জড়ায়েন না।
এর আগে, রোববার (০৩ আগস্ট) রাতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের এক ফেসবুক পোস্ট করেন। এর এক জায়গায় তিনি লেখেন, ‘হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে ছেলেগুলো সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করত, তারা মূলত আইডেনটিটি ক্রাইসিস (আত্মপরিয়ের সংকট) থেকে উতরানোর জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াত। সেটা নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণের দায় থেকে। ছাত্রলীগ যে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাত, তারা সেগুলার অংশীদার হতো, লীগের কালচারই চর্চা করত।’ এ কথা বলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের লেখেন, শিবির করে আসা ছেলেরা নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার জন্য উগ্রবাদী। ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন দিয়ে তদবির করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন