

লোহিত সাগরের তীরে নতুন এক রাষ্ট্রের উদয় নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল হট্টগোল। দীর্ঘ ৩ দশকের প্রতীক্ষা কি তবে শেষ হতে চলেছে? একদিকে যখন স্বীকৃতির উৎসবে ভাসছে একটি ভূখণ্ড, অন্যদিকে তখন হুঙ্কার দিচ্ছে প্রতিবেশী ও প্রভাবশালী এক শক্তি। কোনো এক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করা না-দেওয়া নিয়ে এভাবেই বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা।
এই উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে সোমালিল্যান্ড। গত শুক্রবার ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেছে।
১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর এই প্রথম কোনো প্রভাবশালী দেশের পক্ষ থেকে এমন বড় ধরনের স্বীকৃতি পেল তারা। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি একে দেশটির জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা সোমালিয়ার অখণ্ডতা, ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
সৌদি প্রেস এজেন্সি-এসপিএ এক বিবৃতিতে জানায়, সোমালিয়ার মূল কাঠামোর বাইরে কোনো ‘সমান্তরাল রাষ্ট্র’ গঠনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে না কিংডম। রিয়াদ মনে করে, এ ধরনের স্বীকৃতি ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, ৩ দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করলেও আন্তর্জাতিক মহলে সোমালিল্যান্ড এতদিন ছিল কার্যত উপেক্ষিত। এখন ইসরায়েলের এই ঘোষণা হর্ন অব আফ্রিকার ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন ও জটিল সমীকরণ তৈরি করল।
মন্তব্য করুন