আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত, বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেছেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির সামনে যে তথাকথিত ‘ইতিহাসভিত্তিক’ ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন, তা মূলত একটি একপক্ষীয় রাজনৈতিক বক্তব্য মাত্র। এতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও বেদনাবিধুর অধ্যায়গুলোকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা এই ঘোষণাপত্রকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং দাবি জানাচ্ছি, একে পুনঃসম্পাদনার মাধ্যমে সংশোধন করে পুনরায় উপস্থাপন করতে হবে।
বুধবার (০৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, উক্ত দলিলে শাপলা ট্র্যাজেডি, বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড, এবং ২১ সালে উলামায়ে কেরামের ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন—এই জাতির স্মৃতিতে জ্বলন্ত কয়েকটি বাস্তব ঘটনাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রবাসী মুসলমানদের দ্বীনি ও দেশপ্রেমমূলক অবদানকেও অবহেলা করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, এ দলিল কোনো ইতিহাস নয়, বরং একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পক্ষপাতদুষ্ট রচনা।
তিনি বলেন, যে ঘোষণাপত্র জাতির হৃদয়ের রক্তক্ষরণকে অস্বীকার করে, শহীদদের আত্মত্যাগ ও আলেম সমাজের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে অস্বীকার করে, তা কখনোই ইতিহাস হতে পারে না। তা কেবল একটি পক্ষের রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা এই প্রহসনমূলক ঘোষণাপত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দেশের সচেতন জনগণকে এ ধরনের বিকৃত দলিল সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সঠিক ইতিহাস রচনায় প্রয়োজন সকল দিকের সত্যকে মূল্যায়ন করা—রক্ত, অশ্রু, আত্মত্যাগ, প্রতিবাদ এবং প্রবাসীদের নীরব ত্যাগ—এই সবই ইতিহাসের অংশ, একে বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস পূর্ণতা পায় না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল রাখুন।
মন্তব্য করুন